প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত আমাদের ওপর এসেছে। সেগুলো মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, একদিকে করোনা অপরদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব মোকাবিলা করে কিন্তু আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাঙালি জাতিকে কেউ আর দাবায়ে রাখতে পারবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মনুষ্য দুর্যোগ সব মোকাবিলা করে বাংলাদেশ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ৫০টি মুজিব কিল্লা, ৮০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২৫টি জেলা ত্রাণ গুদাম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ সহনশীল দেশ হিসেবে আজকে কিন্তু বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটা স্থান পেয়েছে, যে যতই দুর্যোগ আসুক আমরা সেটা মোকাবিলা করতে সক্ষম। এটা আমরা প্রমাণ করেছি, এটা অব্যাহত রাখতে হবে। 

‘ওরকম কেউ যাতে ক্ষমতায় না আসে, যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মানুষ মরেনি-এই কথা বলে দায় দায়িত্বহীনতার পরিচয় যেন কেউ না দেয় ভবিষ্যতে, সেদিকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি’ -বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলবদ্ধতা, লবণাক্ততাসহ নানা ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। আমরা গবেষণা করে যাচ্ছি। ’৯৬ সালে আমি গবেষণার জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। আজকে সে গবেষণার মাধ্যমে আমাদের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, লবণাক্ত সহিষ্ণু ধান, খরা সহিষ্ণু ধানের বীজ ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। আমরা কিন্তু কিছু বাজারজাত করতেও সক্ষম হয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তাটাও এর সঙ্গে জড়িত। সে খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আমরা গবেষণা অব্যাহত রেখেছি। যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা যেন করতে পারি, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়ার পর মানুষের কী কী করতে হয়, সে বিষয়টিও আমরা ভালোভাবে প্রচার করে থাকি। 

এসএইচআর/এসএম