ধানমন্ডিতে বাসায় ডেকে নিয়ে বিউটিশিয়ানকে গণধর্ষণের অভিযোগ
রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসায় এক বিউটিশিয়ান (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হোম সার্ভিসের কথা বলে তাকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় বুধবার দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর ভাই ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোনের অনলাইনে একটি পেজ আছে। সে বাসায় গিয়ে বিউটিশিয়ানের কাজ করে। গতকাল বিকেলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে তার নম্বরে। তাকে জানানো হয় ধানমন্ডিতে বাসায় গিয়ে কাজ করতে হবে। পরে আমার বোন জানায়, সে বর্তমানে সাভারে আছে, ফিরতে দেরি হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু ফোনের ওপাশ থেকে এক নারী আমার বোনকে অনেক অনুরোধ জানান এবং রাইড শেয়ারে গেলে তিনি খরচ দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। পরে আমার বোন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে করে ধানমন্ডি ২৮ নম্বর রোডে যায়। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ওই নারী আমার বোনকে বলেন, তার ছোট ভাইকে পাঠিয়েছেন। তার সঙ্গে যেন সে বাসায় চলে যায়।
ভুক্তভোগী নারীর ভাই বলেন, পরে ওই যুবক আমার বোনকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বরের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই নারী (ফোনের ওপাশে থাকা) কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে দরজা লক করে দেন এবং তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পর তিনজন ছেলে ওই বাসায় আসেন।
তিনি বলেন, ওই তিন ছেলে আমার বোনকে চেতনানাশক কিছু খাওয়াতে চান। কিন্তু বোন অস্বীকৃতি জানালে মারপিট করেন এবং পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তারা বলেন, তুই মরতে চাস না বাঁচতে চাস? যদি বাঁচতে চাস, তাহলে কাউকে কিছুই বলবি না। সোজা এখান থেকে বেরিয়ে চলে যাবি।
তিনি আরও বলেন, আমার বোন মোবাইল ফেরত দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলে তার সিমটি তাকে ফেরত দেন তারা। পরে সে সেখান থেকে কোনোরকমে বের হলে তারা মোটরসাইকেলে পিছু নেন। এরপর এক রাইডারকে অনেক অনুরোধ করে গাবতলী পর্যন্ত চলে আসে সে। পরে এক দোকানের মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে তার স্বামীকে কল দিলে বোনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নেওয়া হয়।
ধর্ষণের শিকার নারীর ভাই বলেন, আজ সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসতে বলা হয়। চিকিৎসক তাকে ওসিসিতে ভর্তি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ওই নারী এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কোন জায়গায় তা বলতে পারেননি। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। ঘটনাস্থল শনাক্ত করার পরে মামলা নেওয়া হবে।
এসএএ/আরএইচ