দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প দ্রুত আলোর মুখ দেখবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও অফিশিয়াল কোনো তথ্য পায়নি। তবে আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে আমরা শুনতে পাচ্ছি। তিস্তা নিয়ে আমরা ১২ বছর দেনদরবারে আছি। পুরনো প্রস্তাবটাই তারা (চীন) আবার নতুন করে বলছে। এটাতে তারা (চীন) আর্থিক সাহায্য করতে পারে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন বলে জানান মোমেন।

তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের ইতিহাস টেনে ড. মোমেন বলেন, আমরা শুনেছি, ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে পরপর বড় রকমের বন্যা হয়। তখন ফ্রান্সের একটা বড় এক্সপার্ট গ্রুপ বাংলাদেশে এসেছিল তৎকালীন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে। তখন তারা একটা প্রজেক্ট কীভাবে বাংলাদেশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়; এর ওপর একটা কমপ্রিহেনসিভ স্টাডি করে। সেই স্টাডিতে তারা তিস্তার কথা বলেছে। তখন এটা হাতে নেওয়া হয়নি। অনেক টাকা-পয়সার কারণে। তখন টাকা-পয়সা ছিল না।  

রোববার চীনের রাষ্ট্রদূত তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন। তিনি জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত আলোর মুখ দেখবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যারেজ এলাকার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সবদিক দিয়ে উত্তর অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন ঘটবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে।

এনআই/এসকেডি