সর্বনাশ থেকে বাঁচানোর কথা বলে তরুণীকে গণধর্ষণ
রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ ট্রেনের ৭৪৪ নম্বর বগিতে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তাররা হলেন সুমন (২১), নাইম (২৫), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালু (২২)।
শনিবার (৮ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আজ অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে ভিকটিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের বাড়ি নেত্রকোণায়। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) তার মা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তিনি ওইদিন বিকেলে ৩টার দিকে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রাত ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসে। ট্রেন থেকে নেমে ভিকটিম স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে এসে বসেন। এর ঠিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে ইমরান নামের এক যুবক এসে তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলে। এর একপর্যায়ে যুবক ভিকটিমকে বলেন, এখানে বসে থেকো না তাহলে তার সর্বনাশ হতে পারেন। তারপর ওই যুবক ভিকটিমকে ১ নম্বর প্লাটফর্মের ২১ নম্বর পিলারের সামনে বসিয়ে বলে ‘কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে, সে যেন বলে, ইমরান ভাই বসিয়ে রেখেছে।’
এর কিছুক্ষণ পর ইমরান আবারও ভিকটিমকে বলেন, তোমার সর্বনাশ করার জন্য কয়েকজন ছেলে স্টেশনে ঘুরাফেরা করতেছে। এ কথা বলে ভিকটিমকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার কথা বলে ১ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ ট্রেনের ৭৪৪ নম্বর বগিতে নিয়ে যায় ইমরান। সে গিয়ে ইমরান বগির দরজার বন্ধ করে পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ৪-৫ জন যুবক ট্রেনের জানালা দিয়ে বগির ভেতরে ঢুকে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাকে গণধর্ষণ করা হয়।
এমএসি/এসএএ/এমএ