অনাথ আশ্রমের টাকা চুরি করে দরিদ্রেরও দান করেন মনির
রাজধানীর মোহাম্মদপুর অবস্থিত রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি) নামে একটি অনাথ আশ্রমের সাড়ে ১২ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত পেশাদার চোর মো. মনির হোসেনকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
এসময় তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া ৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে তাকে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, মনির চুরি করা টাকার কিছুটা জুয়া ও নেশার পেছনে নষ্ট করেছেন। এছাড়া কিছু টাকা দরিদ্রের দান করেছেন।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টের আড়ালে ‘বার’, যাতায়াত ছিল নানা পেশার মানুষের
তিনি বলেন, গত ১ অক্টোবর মধ্যরাতে আরএসসির অফিস রুমের গ্রিল কেটে আলমারি থেকে সাড়ে ১২ লাখ চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক চোর। এ ঘটনায় পর দিন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আব্দুন নাসের (রোমেল) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি চুরির মামলা করেন। এ ঘটনায় জড়িত মো. মনির হোসেন (২৮) নামের এক পেশাদার চোরকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার বাড়ি কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের পশ্চিম বাংলানগর গ্রামে।
ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড ৩ নম্বরের একটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি)। প্রতিষ্ঠানটি অসহায় ও পথশিশুদের আশ্রয়, পড়াশোনা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে। এই প্রতিষ্ঠানের অফিসের গ্রিল কেটে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় মনির। পরে তদন্তে নেমে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার তারানগর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর জুয়া খেলে অনেক টাকা নষ্ট করেছে মনির। কিছু টাকা নেশার পেছনে খরচ করেছে। এছাড়া স্থানীয় দরিদ্র মানুষকেও দান করেছে।
ডিসি তেজগাঁও বলেন, মনির দেখতে আলাভোলা ভবঘুরে টাইপের। তবে তার এই চেহারার আড়ালে সে দুর্ধর্ষ এক চোর। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া চার-পাঁচটি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় তার নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া অন্তত অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে মনির।
গ্রেপ্তার আসামিকে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে পাঠানো হবে। এরপর খোয়া যাওয়া বাকি পাঁচ লাখ টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।
এমএসি/এসএসএইচ