প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতের সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায় বের করতে এবং দেশের মানুষকে এ ব্যাপারে সতর্ক করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘এই নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে বিশ্ব আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশ্ব আজ একটি কঠিন সময় পার করছে এবং বাংলাদেশও এর বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। তাই, দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নতি অব্যাহত রাখতে এ ব্যাপারে সুপরিকল্পিত মতামত জরুরি।’

প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ন্যাশনাল ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে এবং চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিকালে এই ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, এর নেতিবাচক দিকটির বিরুদ্ধেও সতর্ক করা হয়েছে, যা মূলত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য হুমকি।

ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির এ উন্নয়নের ফলে, সাইবার অপরাধ এখন একটি বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ব এখন একটি বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত হচ্ছে এবং এখন কেউ আর বিচ্ছিন থাকতে পারে না। করোনাভাইরাস মহামারি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা এটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী করা উচিৎ এবং এব্যাপারে অন্যদের অভিজ্ঞতার আলোকে সেই উপায় বের করতে হবে।

সাইবার অপরাধ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যে কতটা ক্ষতিকর, সে ব্যাপারে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ভালো ও খারাপ দুটি দিক থাকলেও, কোনো জাতি তাদের ছাড়া অগ্রসর হতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘তাই বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির ওপর গবেষণা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। গবেষণা ছাড়া কোনো জাতিই উন্নতি লাভ করতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য কৃষি, শিল্প ও কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পরপরই এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

জাতীয় ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্যরা এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাসস

এসএম