৫ বছর পর ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার, চালাতেন ২ টিকটক আইডি
মাহেন্দ্র চালক রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি রনি শিকদারকে ৫ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার লালবাগ থানার শহীদ নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে রনি শিকদার ও তার তিন বন্ধু মিলে গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম থেকে খুলনায় ঘুরতে যান । সেখান থেকে আসার সময় ওই বছরের ১২ জানুয়ারি পরিকল্পনা করে ড্রাইভার রিপনকে খুন করেন। গাড়িটি নিয়ে তারা ঢাকায় পালিয়ে আসার চেষ্টা করে। পরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে খুলনার লবণচরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০২২ সালের ২৯ মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রিপন হত্যার দায়ে ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রনি শিকদার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যে আমরা জানতে পারি, খুলনার মাহেন্দ্রের ড্রাইভার রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি রনি শিকদার চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় অবস্থান করেন। এছাড়া সে প্রায়ই ঢাকা-চট্টগ্রাম আসা যাওয়া করতেন। গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে ঢাকার লালবাগ থানার শহীদ নগর থেকে রনি শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি শিকদারের থেকে জানা যায়, হত্যার পর আসামি রনি শিকদার ২ বছর পর বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হ। এর পর তারা আর কোনো দিন আদালতে হাজিরা দেননি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে যান। রনি শিকদার জামিনে বের হয়ে প্রথমে চট্টগ্রামের একটি পোষাক কারখানায় অপারেটর ও আয়রনম্যানের কাজ করেন। এরপর সে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অটোরিকশা ও সিএনজি চালানো শুরু করেন। সর্বশেষ সে ঢাকার লালবাগ শহীদ নগর এলাকার একটি চুড়ির কারখানার কাজে নিয়োজিত ছিল এবং নিয়মিত টিকটক ভিডিও করতেন।
তিনি আরও বলেন, নিজের আসল পরিচয় গোপন রাখার জন্য তিনি আলাদা আলাদা ঠিকানা ব্যবহার করতেন। এছাড়াও তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের পিতা আব্দুর রব উল্লেখ করেন। পরে তার পিতার আসল নাম আব্দুর রউফ শিদকার। আসামি রনি শিকদার তার ব্যবহৃত মোবাইলের মাধ্যমে ‘জাহাঙ্গীর আলম’ ও ‘কলগার্ল বয়’ নামের দুইটি আইডি দিয়ে বিভিন্ন রকম টিকটক ভিডিও তৈরি করে আপলোড করে আসছিলেন।
কেএম/এমএ