পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের স্থায়ী ঠিকানায় পুনর্বাসন করা হবে
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, নতুন করে যেন পাহাড় কাটা না হয় সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। একইসঙ্গে যারা পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাস করছে, তাদের নিজ স্থায়ী ঠিকানায় অর্থাৎ তারা যেখান থেকে এসেছে সেখানে পুনর্বাসন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্থায়ী ঠিকানায় পুনর্বাসনের বিষয়টি আমরা সহজ করে দেবো। আমরা এক মাসের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেবো, মাইকিং করবো, লিফলেট বিতরণ করবো। তারা তাদের আবেদনগুলো সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠাবেন। এরপর আবেদনগুলো তাদের নিজস্ব ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবো। সেখানকার কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে তাদের সেখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন। পাহাড় অঞ্চলে কাউকে পুনর্বাসন করা হবে না।
তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে সরকারের বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলমান থাকবে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়েসহ যেসব সংস্থার পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী আছে তারা তাদের তালিকা করবে, পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ করবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পাহাড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। নতুন স্থাপনায় যেন নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া না হয়। পাহাড় ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট লোকজন থাকবেন। পাহাড় ব্যবস্থাপনার একটি অফিস নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, যারা অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করেছে তাদেরকে আর কোনোভাবেই পাহাড় কাটতে দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধভাবে যারা বসবাস করছে তাদের এর আগে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে খুব শিগগিরই একটি চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হবে। সেই নোটিশ দেওয়ার পর সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে
এই সময় জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএম/জেডএস