জেনারেটরে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে

জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা দুপুর থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল।

জেনারেটরে চলছে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল। এসব হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ না এলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এইমস হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, লাইট, ফ্যান, এসিসহ সবকিছু বন্ধ করে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ হয়ে বসে আছেন কর্মকর্তারা। রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালের আশপাশে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

এইমস হাসপাতালের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিদ্যুৎ যাওয়ার পর থেকে জেনারেটরে সব মেশিন এবং যন্ত্রপাতি চালানো হচ্ছে। টানা ২ ঘণ্টা চালানোর পর এখন এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখেছি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না এলে আবার দুই ঘণ্টার জন্য জেনারেটর চালু করা হবে।

তিনি বলেন, জেনারেটর চালু রাখার জন্য পাম্পে ডিজেল আনতে পাঠিয়েছি, কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় তারাও ডিজেল দিতে পারছে না। অধিকাংশ পাম্পগুলোই ডিজেল বিক্রি বন্ধ করে রাখছে। ডিজেল না আনতে পারলে তো জেনারেটরও চালাতে পারব না। আর আপনি জেনারেটর একটানা কতক্ষণ চালাবেন? তারও তো বিশ্রাম প্রয়োজন হয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট নেই। এ কারণে আমাদের তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যেসব হাসপাতালে আছে, সেগুলোর জন্য তো বিশাল সমস্যার কারণ। রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ না এলে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে।

বাড্ডা এলাকার ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সচল রাখা হয়েছে। তবে, বিদ্যুৎ না এলে জেনারেটরে নির্ভর করে হাসপাতাল চালু রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালটির এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওপর থেকে নির্দেশনা এসেছে, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া যেন লাইট-ফ্যান বা এসি চালানো না হয়। শুনেছি পেট্রোল পাম্পে নাকি ডিজেল পাওয়া যায়নি। জেনারেটরে নির্ভর করে হাসপাতালের পরীক্ষা কার্যক্রম কতক্ষণ চালানো যাবে? বিদ্যুৎ না এলে অবশ্যই সমস্যায় পড়তে হবে।

টিআই/আরএইচ