বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পূজা মণ্ডপ কোনোভাবেই ফাঁকা রাখা যাবে না। নিজেদের জনবল না থাকলে আনসার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।

তিনি বলেন, সাধারণত দুষ্কৃতকারীরা সরকার ও সমাজের সুনাম নষ্ট করতে পূজার সময় ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। তাই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যে সময় কেউ থাকে না, ঠিক সেই সময়ে তারা অপকর্ম ঘটায়। তাই পুরো সময়টা সজাগ থাকতে হবে। সারাদেশের জন্য আমার একই বার্তা।

রোববার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন আইজিপি।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নজির রয়েছে। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্মের মানুষ পরস্পর মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করেন। কতিপয় দুষ্কৃতকারী অঘটন ঘটিয়ে আমাদের সহাবস্থানকে বিনষ্ট করতে চায়, দেশের ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চায়। আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, কোনো দুষ্কৃতিকারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ কোনো ধরনের অঘটন ঘটানোর দুঃসাহস না দেখাতে পারে।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিদর্শনের সময় আইজিপির সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

এআর/আরএইচ