ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আ. জলিল মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ মিলেছে। সব মিলিয়ে চার কোটি ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অপরাধযোগ্য সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

সূত্র আরও জানায়, মাহমুদা নাছরিনের নামে আয়কর নথি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন গৃহিণী। তার সব সম্পত্তি স্বামী জলিল মিয়ার অবৈধ আয় দিয়ে অর্জন করা। জলিল মিয়া অবৈধ আয়কে বৈধ করতে নিজের নামে সম্পদ না করে স্ত্রীর নামে অর্জন করেছেন। অর্থাৎ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ তার স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।

সে কারণেই জলিল মিয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরএম/এমএইচএস