চট্টগ্রামের ডবলমুরিং এলাকা থেকে অপহৃত ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় অপহরণ চক্রের প্রধান মো. মনির হোসেনকে দুই নারী সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৫২ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।  

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত তিনটার দিকে কুমিল্লার কোতােয়ালী থানার দৌলতপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, তিন স্ত্রী থাকার পরও মনির ভিকটিম কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় কৌশলে কিশোরীকে অপহরণ করেন মনির। 

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সী। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ভিকটিমের বাবা মারা যাওয়ার পর  আর লেখাপড়া করেননি। আসামি মো. মনির হোসেন ভিকটিমের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সেই সুবাদে মনির প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।  গত কয়েক মাস আগে মনির হোসেন তার আগের ৩ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ভিকটিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ভিকটিমের মা মনিরের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২২ জুলাই ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে কিশোরীর মা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ২৮ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। 

এরপর র‌্যাব ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ সেপ্টেম্বর অপহরণের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি মনির হোসেনকে তার অপর দুই সহযোগী সকিনা আক্তার ফারজানা ও শিমুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। এই সময় তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৭৫২ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।  

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার মনির হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, রাকিব নামে একজনের সহযোগিতায় ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের লোভ ও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ২ মাস আগে  চট্টগ্রাম থেকে অপহরণ করে কুমিল্লায় নিয়ে যান। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে ভিকটিমকে মাদকাসক্ত করে মাদক পাচারের কাজে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। 

তিনি বলেন, মনিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধার ভিকটিমকে ডবলমুরিং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

কেএম/জেডএস