‘রাষ্ট্রের ভিত্তি মজবুতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখে দিতে হবে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র রচিত হয়েছে, সেই ভিত্তি আরও মজবুত করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
তিনি বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইসলাম সব ধর্মের মূল মর্মবাণী মানুষে-মানুষে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি স্থাপন। মানুষের কল্যাণকে চেতনায় ধারণ ও অনুশীলন করলে দেশ, সমাজ, পৃথিবী অনেক শান্তিময় হতো। ধর্মের ভিত্তিতে হানাহানি থাকতো না।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার সূচনাপর্ব শুভ মহালয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে যে অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চায়, ফণা তুলে দাঁড়াতে চায়, ছোবল মারতে চায় সেই অপশক্তিকে সবাই মিলে দমন করতে হবে। তাহলেই রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত আমরা আরও মজবুত করতে পারব।
তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত সংগ্রাম এবং মিলিত রক্তের স্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্যই আমরা সবাই একযোগে লড়াই করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যার নেতৃত্বে এই দেশ রচিত হয়েছে সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫ সালে হত্যা করা হয়। রাষ্ট্রকে আবার সাম্প্রদায়িক বানানোর অপচেষ্টা চালানো হয়।
ওই সময় (১৯৭৫ সালে) রাষ্ট্রের মূল চেতনার ওপর যে আঘাত হানা হয়েছিল, তা পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিল, তারা এখনও সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছড়ায়, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়ায়। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার সবসময় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে একটি রাজনৈতিক পক্ষ আছে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে নিয়ে অপরাজনীতি করে। তাদের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
দেশে প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর কারণ হচ্ছে- মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সামর্থ্য আছে। একইসঙ্গে সরকার আপনাদের পাশে আছে। এ বছর অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে সারা দেশে পূজা উদযাপন এবং প্রতিমা বিসর্জন হবে।
সবাইকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, দুর্গা উৎসবের আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। এই আনন্দ সারাবছর জাগরূক থাকুক। আপনাদের আনন্দের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আনন্দময় হোক, শান্তিময় হোক।
আজ ভোর ৬টা ২ মিনিটে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অতিথি ও আয়োজকরা। শিল্পী মানষ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, শিল্পী লাল দত্ত প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এমএইচএন/এমএইচএস