আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- আরমান ওয়াহিদুল রহমান সুজন, আলিফ জাবেদ, সাফায়েত হোসেন রাজু, হামিম রাফসান ও জাহেদুল অভি। বাকিদের নাম প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে সংঘর্ষের জন্য ছাত্রলীগের দুই নেতা একে অপরকে দায়ী করছেন। পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদক সবুজ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী কলেজ ক্যাম্পাসে শোডাউন করে নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছিল। এসময় সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এক পর্যায়ে তারা এতে এক অপরকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এসময় এক ছাত্রলীগ কর্মী উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে আশ্রয় নেন। সেখানে তাকে মারধর করা হয়। এছাড়া, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর নাজমা বেগমের কক্ষের দরজার গ্লাস ভাংচুর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি - সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি করতে হলে টিনু ও সবুজের অনুসারী হতে হবে বলে তারা হুমকি দিচ্ছে। ক্যাম্পাসে আমার নাম বলায় রড, ইট পাথর নিয়ে তারা আমার  কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।

সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সভাপতির অনুসারীরা আমার এক কর্মীর ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। এরপর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কেএম/এমএইচএস