দুদকের মামলায় আবুল বশরকে সাড়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক নিরাপত্তা পরিদর্শক আবুল বশর চৌধুরীকে সাড়ে ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এই রায় দেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ (লাভলু)।
তিনি বলেন, ১৪ লাখ ৪২ লাখ ৩২ টাকা তথ্য গোপনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া ৬৯ লাখ ৬ হাজার ৫৯৪ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা অনুযায়ী ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক এইচ এম আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দিয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ আসামি আবুল বশর চৌধুরী গত ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তার নিজের ও নির্ভরশীল সদস্যের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। ওই বিবরণী অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় আসামি আবুল বশর চৌধুরী তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ১৭ হাজার ৪২১ টাকা স্থাবর সম্পদ এবং ২১ লাখ ৪৭ হাজার ১৪১ টাকা অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ে ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫৩ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ২১ লাখ ৪৭ হাজার ১৪১ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। দেখা যায়, তিনি ১৪ লাখ ৪২ হাজার ৩২ টাকা স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়াও ৫৫ লাখ ১০ হাজার ১২৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
কেএম/এমএ