লাল চিহ্নিত সড়কে আর হকার বসতে দেওয়া হবে না : মেয়র তাপস
আগামী সপ্তাহ থেকে লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আর হকার বসতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১০তলা বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ বিপণি বিতানের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ ঘোষণা দেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন পদক্ষেপে যাচ্ছি, নতুন কার্যক্রমে যাচ্ছি। আগামী সপ্তাহ থেকে নির্দিষ্ট রাস্তায় নির্দিষ্ট সড়ক আমরা চিহ্নিত করব। কেবল অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো লাল চিহ্নিত করা হবে। হলুদ ও সবুজ চিহ্নিতও করা হবে। লাল চিহ্নিত এলাকায় সড়কে হাঁটার পথে আমরা আর হকার বসতে দেব না। আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা লাল চিহ্নিত অতি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো থেকে হকার সরানোর অভিযান শুরু করব।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আধুনিক ১০তলা বিপণিবিতান নির্মাণকাজ হকারদের প্রতীক্ষা পূরণের আশাবাদ, এটি দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ছিল। এ এলাকার হকার ভাই-বোনদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মার্কেট। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে দীর্ঘদিন এটা করা হয়নি। আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এটার কাজ শুরু করতে পেরেছি। আমরা আশা করব, আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। হকার ভাই-বোনদের জন্য এটি একটি বড় মার্কেট হবে। তারা তাদের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা জানেন ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব যে রকম মহামারি আকার ধারণ করেছিল এবার সেই পর্যায়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন। আমরা এজন্য প্রথম থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। যে জরিপগুলোর ফলাফল এসেছিল সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা বিস্তর চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি এবং বিগত দুই মাসব্যাপী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করে (এডিস মশার) উৎসগুলো ধ্বংসের মাধ্যমে আমরা দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছি। ফলশ্রুতিতে আমরা ঢাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার থেকে মুক্তি দিতে পেরেছি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, গতকালের পরিসংখ্যান (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য) অনুযায়ী, আমাদের রোগীর সংখ্যা ৪০ জন, যা এ পর্যন্ত এই মৌসুমে সর্বোচ্চ। কারণ পুরো মৌসুমে আমরা কাজ করে ৩০, ২৫, ২০, ১৫ জনের কাতারে রাখতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শেষ পর্যায়ে এসে একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা মনে করি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ সিটিতে এখনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডেঙ্গু রোগে যারা মারা গেছেন আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এ যাবত দুজন মারা গেছেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি