থানায় মামলা দায়ের
বনানীর সেই বাসায় জব্দ হলো যেসব বিদেশি মাদক
রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর ১১ নম্বর সড়কের পাশে লেকঘেঁষা বিলাসবহুল ভবনের ৯ম তলায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ সেলিম সাত্তারকে আটকের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো-উত্তরের গুলশান সার্কেলের ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তার সেলিম সাত্তার সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। জিএমজি গ্রুপভুক্ত সামাহ রেজর ব্লেডস ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালকও তিনি।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদি হাসান জানান, ওই মামলায় আজই সেলিম সাত্তারকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। মামলাটি গুলশান সার্কেলের কর্মকর্তা নিযুক্ত করে তদন্ত করা হবে।
• আরও পড়ুন : ভাঙ্গারির মালামাল পরিবহনের আড়ালে গাঁজার কারবার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নেদারল্যান্ডসের আমস্টার্ডার্ম থেকে এলএসডি ও এক্সটাসি, স্পেনের বার্সেলোনা থেকে কোকেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুশ (সিনথেটিক গাঁজা) এবং আইস ও ক্যানাবিস চকলেট ও বিদেশি মদ সংগ্রহ করতেন সেলিম সাত্তার। এই চক্রে কারা জড়িত, কিভাবে আকাশ পথে এসব বিদেশি মাদক আনা হতো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সেলিম সাত্তারের বাসায় মাদক ছাড়াও যৌন উত্তেজক বিপুল পরিমাণ ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে মাদক বিক্রি ও সেবনের পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো।
অভিযানে জব্দ বিপুল মাদক
মামলার তথ্যানুযায়ী অভিযানে জব্দ করা হয় ২০ বোতল বিদেশি মদ, ৩০ গ্রাম কোকেন, আইস পাঁচ গ্রাম, এক্সটাসি নামের এস.ডি.এম এ ট্যাবলেট ১৮৫ পিস, এলএসডি ২৯ ব্লটার, গাঁজা ৩০০ গ্রাম, সিনথেটিক ১২৫ গ্রাম, গাঁজার কেক বার (ক্যানাবিজ কেক) ১৬০ গ্রাম, শিশা ৭০০ গ্রাম, শিশা সেবনের দুই সেট হুক্কা। এছাড়া মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় অভিযান শেষে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, বিদেশি নতুন নতুন মাদকের কালেকশন দেশে নিয়ে আসতেন সেলিম সাত্তার। আর উচ্চবিত্তদের নিয়ে নিজের বাসাতেই বসাতেন মাদকের আসর। পুরো বাসাটি বিলাসবহুল বারের মতো সাজানো। এখানে মাদকের আসর বসতো। হতো মাদকের বেচাকেনাও। ফ্ল্যাটের মালিক বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
জেইউ/এনএফ