পাট শিল্পের সুদিন ফেরাতে বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনকে (বিজেএমসি) দেশের প্রতিটি জেলায় পাট পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় মেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর করিম চেম্বারে পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাট পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমি ব্যবসায়িক দিক থেকে চিন্তা করেছি যে কীভাবে পাট শিল্পকে লাভজনক করা যায়। সাধারণত অন্য পণ্যের ক্ষেত্রে ১ টন প্রোডাক্টে যে পরিমাণ লাভ করা যাবে, জেডিপিসি ওই পরিমাণ পণ্যে আরো বেশি লাভ করতে পারবে।

তিনি বলেন, মন্ত্রী হওয়ার পর আমি এই ভবন এবং পেছনের ভবন নিয়ে মেলা করতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, প্রতি মাসে মেলা হবে। কিন্তু, তৎকালীন বিজেএমসির চেয়ারম্যান এত বেশি ভাড়া ধরলেন, যে উদ্যোক্তারা আসতে পারলেন না। তখন এই মেলা করা সম্ভব হয়নি। তিনি তখন বিজেএমসি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, যা ছিল লোকসানি প্রতিষ্ঠান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডাকলেন। তিনি বললেন, বছরে ১ হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। প্রাইভেট খাতগুলো লাভ করছে, আমরা কেন পারছি না। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, লিজ দিয়ে বন্ধ হতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো চালাব।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের তুলনায় আমরা মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবসা করি। সেখানে সরকারি জুটমিল নাই। অথচ, আমরা লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো চালিয়ে বেসরকারি খাতগুলোকে ওই সময়ে সাহায্য করতে পারিনি। এখন অনেকগুলো মিল চালু হয়েছে। যেহেতু প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোগে চালু হচ্ছে, তারা ফরেন কারেন্সি অর্জন করবে। কারণ তাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো এত অবলিগেশন নেই।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমাদের বিজেএমসি আছে, তাঁত বোর্ড, বস্ত্র অধিদপ্তর আছে। সবাইকে এই সেক্টরে অবদান রাখতে হবে। কারণ, এই শিল্প এসব সেক্টরগুলোর সঙ্গে জড়িত।

বক্তব্য শেষে মন্ত্রী পাঁচ দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং সবগুলো স্টল ঘুরে দেখেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রেখা রানী বালো ও আগত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা।

মেলায় দেশের বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদনকারী ৩৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলা চলবে। এতে বিভিন্ন বহুমুখী পাট পণ্য প্রদর্শন করা হবে।

আইবি/এমএইচএস