নন-সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা, রাজস্ব ফাঁকি রোধে নীতিমালা চায় দুদক
রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও ফাঁকি প্রতিরোধে নন-সিডিউল ফ্লাইট ওভার ফ্লাইং পারমিশন সিস্টেমের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া চিঠিতে নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সই করা পাঠানো এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে ওই নীতিমালা প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দুদকের মনে হয়েছে নন-সিডিউল ফ্লাইট ওভার ফ্লাইং পারমিশন সিস্টেমের জন্য একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। সে কারণেই আমাদের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠি সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নন-সিডিউল ফ্লাইট ওঠানামা করার পারমিট ইস্যুর অটোমেশনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। যা থেকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪ কোটি ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়। সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও অনিয়ম প্রতিরোধে নন-সিডিউল ফ্লাইট ওভার ফ্লাইং পারমিশন সিস্টেমের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন বলে দুদক মনে করে।
এ অবস্থায় সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ থেকে নন-সিডিউল ফ্লাইট ওভার ফ্লাইং পারমিশন সিস্টেমের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনানীতি অনুযায়ী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পরিচালিত যেকোনো এয়ারলাইন্সের সিডিউল নন-সিডিউল ফ্লাইটের ওভার ফ্লাই, ল্যান্ডিং ও রিফুয়েলিংয়ের জন্য পারমিশন চার্জ দিতে হয়। এটি আদায়ের এখতিয়ার বেবিচকের। নন-সিডিউল ফ্লাইটের অনুমতি দেওয়া হয় কেস টু কেস ভিত্তিতে। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, যেকোনো দেশের আকাশপথ ব্যবহার করলে এ ধরনের চার্জ দিতে হয়। আগে কাজটি কার্গো নেভিগেশনের হাতে ছিল। পরে সিভিল এভিয়েশনের হাতে যায় তদারকির কাজ।
বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহারের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের কাজ ২০১২ সাল থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়। তাতে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২০১৮ সালে এএসএল সিস্টেম লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
আরএম/এমএইচএস