অনলাইন গ্যাম্বলিং সাইট বেটওইনার পরিচালনাকারী তিন বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)। গ্রেপ্তাররা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), আব্দুল্লাহ আল আউয়াল (২৬) ও মো. তোরাফ হোসেন (৩৭)।

বুধবার (৩১ আগস্ট) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল, এজেন্ট সিম ৪টি, মার্চেন্ট সিম ২টি, নগদ সিম ১টি, পার্সোনাল সিম ২টিসহ মোট ১২টি সিম ও ১টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বেটওইনার সাইটে জুয়ায় অংশগ্রহণকারীদের টাকা বাইন্যান্স নামে মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করতেন তারা। পরে ওই অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হত।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. রেজাউল মাসুদ এসব তথ্য জানান।

রেজাউল মাসুদ বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের নিয়মিত মনিটরিংয়ের সময় বেটওইনার নামে অনলাইন বেটিং সাইটটি নজরে আসে। সেখানে অনলাইনে জুয়া খেলা হয়। সাইটটি নজরদারির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের তিন এজেন্টকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

বেটওইনারের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে একাউন্ট ওপেন করেন। সে সময়ে একাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয়, যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলা হয়। শুরুতে এর ব্যালেন্স শূন্য থাকে।

এই ওয়ালেটে ব্যালেন্স যোগ করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। যার মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় এবং ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম। এগুলোর যেকোনো একটি ক্লিক করলে সেখানে একটি এজেন্ট নম্বর দেখায়। যে নম্বরে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালেন্সে যুক্ত হয়ে যায়। এই টাকা বা ব্যালেন্স দিয়ে ইউজার পরবর্তীতে জুয়া খেলায় অংশ নিতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমা করা টাকা তুলে বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে কনভার্ট করেন। পরবর্তী সময়ে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যায়।

গ্রেপ্তাররা এই অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা (৭৪) দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমএসি/এমএইচএস