চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা আশরাফ আলী রোডে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু দুষ্কৃতিকারী ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে মর্মে গুজব ছড়িয়ে উস্কানি দিচ্ছে। 

বুধবার (৩১ আগস্ট) কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. জসিম উদ্দিন। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা আশরাফ আলী রোডের ফজলু কলোনির মণ্ডপে গণেশ প্রতিমাবাহী ভ্যানগাড়ি যাচ্ছিল। সাউন্ড সিস্টেমসহ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পিকআপযোগে যাওয়ার সময় ছোবহান মসজিদ মোড় এলাকায় প্রতিমাবাহী গাড়ির পাশ দিয়ে একটি প্রাইভেটকার অতিক্রম করার সময় প্রতিমাবাহী ভ্যান গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় প্রতিমাবাহী ভ্যান গাড়ি বহনকারী লোকজন উত্তেজিত হয়ে প্রাইভেটকারে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হন। 

চালক ভয় পেয়ে দ্রুত চলে যাওয়ার সময় সামনে থাকা বাইসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা লাগে। এতে বাইসাইকেল আরোহী নন্দন দাশ গুপ্ত আহত হন এবং বাইসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত নন্দন দাশকে 
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিমাবাহী ভ্যান গাড়ির সঙ্গে থাকা লোকজন প্রাইভেটকারটিকে ভাঙচুরের চেষ্টা করলে চালক দ্রুত গাড়িটি বাসার ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিমাবাহী ভ্যান গাড়ির সঙ্গে থাকা লোকজনও প্রাইভেটকার চালকের বাসায় গিয়ে তাদের আবারও কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে প্রাইভেটকারের চালক শেখ মেজায়ান হোসেন জায়ান (১৯) ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে তাদের বাসায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। 

তিনি বলেন, এরই মধ্যে গুজব ছড়ানো হয় যে, ভ্যানগাড়িতে করে গণেশ প্রতিমা বহন করার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে একটি প্রাইভেটকার ভ্যান গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রতিমাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ গুজবের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু লোকজন প্রতিবাদ জানান। 

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করে প্রাইভেটকারের চালক শেখ মেজায়ান হোসেন জায়ানকে হেফাজতে নেয়। পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটির লোকজন এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিমা বা প্রতিমাবাহী গাড়ির কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। প্রতিমা সুষ্ঠুভাবে মণ্ডপে পৌঁছে গেছে এবং সুরক্ষিত আছে।  

কেএম/এসকেডি