ফাইল ছবি

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোববার (২৮ আগস্ট) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। নজরুল ইসলাম বাবু তার প্রশ্নে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির কর্মকাণ্ড বন্ধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না তা জানতে চান।

আরও পড়ুন: ধর্মশিক্ষা বাদ দিইনি, আছে : দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে সরকার সবসময় সজাগ ও তৎপর। কোনো ছাত্র সংগঠন দেশের প্রচলিত আইনবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে না।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সংবিধানের ২(ক), ৮(১) ও ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্ম, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও ধর্ম নিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত ধারাগুলো তুলে ধরেন।

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সনাতন পদ্ধতির কারিকুলাম/সিলেবাসের পরিবর্তে ফলভিত্তিক কারিকুলাম প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। 

ডা. দীপু মনি আরও জানান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হয়েছে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাক্রেডিটেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আকস্মিক পরিদর্শন করা হচ্ছে। সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফি কাঠামো সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা চলমান রয়েছে।

সরকারি দলের এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ২০০৯-২০২২ পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা অবসর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। জুন ২০১৯ পর্যন্ত জমাকৃত আবেদনসমুহ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বর্তমানে ৩২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির জন্য তিন হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৭০৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এমএইচএন/এমএ