বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ৯ বোটে ডাকাতি, কোটি টাকার মাছ লুট
বঙ্গোপসাগরে ৯টি বোটে ডাকাতি করে প্রায় এক কোটি টাকার ইলিশ লুট করেছে দস্যুরা। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে আনোয়ারা গহিরা থেকে সন্দ্বীপের কাছাকাছি কালিয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মহাসচিব আমিনুল হক বাবুল সরকার।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বাবুল সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গোপসাগরের আনোয়ারার গহিরা সাগর এলাকা থেকে কালিয়ারচর এলাকায় ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় মারধর করে জেলেদের কাছ থেকে এক কোটি টাকার মাছ নিয়ে গেছে দস্যুরা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এফবি মা-বাবা, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি রহমান, এফবি ইয়াসমিন, এফবি বাবা-মাসহ মোট ৯টি বোটে দস্যুরা ডাকাতি করে সব মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। গত ৫ বছরে এমন ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি৷
তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের কাছেও আশ্চর্য লাগছে। নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে । প্রতিটি বোটেই ১৪ থেকে ২০ জন জেলের একটি দল থাকে।
ডাকাতের কবলে পড়া এফবি রহমান বোটের মালিক আলম মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাগরে মাছ ধরা শেষ করে ফিশারি ঘাটের দিকে ফিরছিলেন জেলেরা। শুক্রবার রাতে দস্যুরা আমার নৌকা থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার পিস মাছ নিয়ে গেছে। মাছগুলোর দাম কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, মাছ নেওয়ার সময় জেলেদের মারধর করা হয়েছে। এখন জেলেদের খরচ, নৌকার খরচ চালানোই কষ্ট হয়ে যাবে। আমার নৌকায় একসঙ্গে ২৫-২৬ জন দস্যু হানা করেছিল।
চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত ঘটনাটি ঘটেছে গভীর সাগরে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার খোঁজ খবর নিচ্ছি। এর পাশাপাশি লুট করা মাছ যাতে বাজারে বিক্রি করতে না পারে সেই ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখছি। দস্যুরা তো ল্যান্ডে আসবে। এ এলাকায় মাছ বিক্রি করতে আসলে যেন তাদের ধরতে পারি সেই ব্যাপারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, সাগরের গহিরা থেকে শুরু করে কালিয়ারচর পর্যন্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এসব এলাকায় কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করে। গভীর সাগরে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই।
কেএম/এসকেডি