চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে বারিধারার বাসা থেকে মাহবুব তালুকদারের মরদেহ নিয়ে রওনা করেন তার স্ত্রী নিলুপার বেগম, দুই মেয়ে আইরিন মাহবুব ও আফরিন মাহবুব এবং ছেলে শোভন মাহবুব। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাহবুব তালুকদারের মরদেহবাহী গাড়িটি বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পৌঁছায়।

এর আগে বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মাহবুব তালুকদারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। এ সময় বিশিষ্টজনদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানাজার আগে মাহবুব তালুকদারের ছেলে শোভন মাহবুব বলেন, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি দেশপ্রমিক ছিলেন। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি কোনো ভুল–ত্রুটি করে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।

এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার কাছে পরিচিত নন। আমার কাছে তার অবস্থান আরও অনেক ওপরে, একজন লেখক হিসেবে। তার জীবন ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। তিনি যেসব বই লিখেছেন এর মধ্যে কতগুলো ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাকে মূল্যায়ন করি একজন ভালো লেখক হিসেবে।

জানাজা শেষে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট লাগোয়া খালি জায়গায় মাহবুব তালুকদারকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হয় বারিধারার বাসায়। সেখানে ঘণ্টাখানেক রাখার পর নেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মাহবুব তালুকদারের মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

এসকেডি