শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১৯৭১, ৭৫, ২০০৪ এর খুনি ও ২০১৩, ১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাসরা একই আদর্শে বিশ্বাসী। তারা দেশে ১৫ আগস্টের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর আস্ফালন দেখাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট)  দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ আইভী রহমানের স্মরণে আইভী রহমান পরিষদ সভাটির আয়োজন করে।

দীপু মনি বলেন, আমাদের সচেতন থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দলের পথ কখনো কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। সবসময়ই এটি  কাঁটা বিছানো ছিল। আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যাবে।

‘শিক্ষকরা ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং সেন্টারে পড়ান’- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিংয়ের দরকার হতে পারে। বিদেশেও এ ধরনের কোচিং আছে। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাসে ভালোভাবে না পড়িয়ে নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে যদি কোচিংয়ে পড়ান তাহলে এটি বৈষম্যজনক এবং অনৈতিক। এটি অপরাধজনক। সেটি যেন না করতে পারে সেজন্য নতুন শিক্ষা আইনে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

আইভী রহমানের সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বেগম আইভি রহমান রাজনীতিতে শুদ্ধাচার ও শিষ্টাচারের অন্যান্য দৃষ্টান্ত। জিল্লুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনে তার অনেক অবদান ছিল। তিনি স্বামীকে অনুপ্রাণিত করেছেন। নিজেও সোচ্চার ছিলেন। পুরো রাজনৈতিক জীবনে তিনি কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন। জন সভায় তিনি কর্মীদের পাশে বসেছিলেন।

আইভী রহমানের রক্তাক্ত শরীর কোনোভাবে ভুলতে পারি না। তৎকালীন সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশেও যেতে দেয়নি। তার সন্তানদের ঠিকমতো দেখতে দেওয়া হয়নি। নাটক করেছে, বলেছে জানাজা পড়ানো যাবে না। তারা গোপনে দাফন করতে চেয়েছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- অসীম কুমার উকিল, জাহাঙ্গীর আলম, এবিএম বায়েজীদ, রোকনউদ্দিন পাঠান, এমএ করিম প্রমুখ।

আইবি/এমএইচএস