রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে কাজ করার আশ্বাস পশ্চিমা ১৪ দূতের
রোহিঙ্গা সংকট এবং এর কারণগুলোর দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ঢাকায় পশ্চিমা দেশের ১৪টি দূতাবাস। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিমূলক উদ্যোগের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়া নিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে দেশগুলো।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন ও এই সংকটের সমাধান চাই। আমরা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মিয়ানমারজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন উদ্বেগের সঙ্গে নোট করছি। আমরা মিয়ানমারে দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসানের আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমাদের দেশগুলো রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে মিয়ানমারে রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট সমাধানেও চাপ অব্যাহত রাখব, যেন এই সমাধানে অবশ্যই রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের জন্য তাদের সমর্থনে সংহতিতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই সংকট এবং এর কারণগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাব।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছে- মার্কিন দূতাবাস, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন, ব্রিটিশ হাইকমিশন, কানাডার হাইকমিশন, ডেনমার্কের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল, ফ্রান্সের দূতাবাস, জার্মান দূতাবাস, ইতালির দূতাবাস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, নরওয়ের দূতাবাস, স্পেনের দূতাবাস, সুইডেনের দূতাবাস ও সুইজারল্যান্ড দূতাবাস।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা, সুরক্ষা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অংশীদারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকাকালে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনে গুরুত্বের ওপর জোর দেই। একই সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। এছাড়াও আমরা কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে সমর্থন করে যাচ্ছি যারা শরণার্থীদের আতিথেয়তা দিচ্ছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার, জনগণের উদারতা এবং রোহিঙ্গাদের অব্যাহত আশ্রয়ের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
এনআই/জেডএস