ড্যাপের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন জরুরি : বিআইপি
২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত রাষ্ট্র গঠনে গেজেট আকারে প্রকাশিত ঢাকা মহানগর এলাকার ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০১৬-২০৩৫’ পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন জরুরি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ড্যাপ বাস্তবায়ন বিষয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ কথা বলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাটি ঢাকা ও তার আশপাশে ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার ভূমি ব্যবহার, আবাসন, পরিবহন, পানি নিষ্কাশন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন, সামাজিক ও নাগরিক সেবা ইত্যাদি প্রদানের জন্য একটি সমন্বিত ও সামগ্রিক ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা। রাজধানী ঢাকা দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ঢাকার পরিসর যেমন বেড়েছে, তেমনি জনঘনত্ব বেড়েছে অসহনীয়ভাবে। এটি এমন সময়ে প্রণীত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রণয়নকৃত প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আলোকে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের উন্নত রাষ্ট্র গঠনের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় রাজধানী ঢাকার এই পরিকল্পনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। সামগ্রিক বিবেচনায় এই পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল এবং মহানগর ঢাকার সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকাঠামো ও কর্মকৌশল যার আলোকে গড়ে উঠবে উন্নত দেশের রাজধানী।
পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, এবারের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় আধুনিক নগর পরিকল্পনার বেশ কিছু কৌশল যেমন, ব্লক ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিটিভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও সেবার বিকেন্দ্রীকরণ, মেট্রো স্টেশনভিত্তিক ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি), জনঘনত্ব পরিকল্পনা, ট্রান্সফার অব ডেভেলপমেন্ট রাইট (টিডিআর), ওয়ার্ডভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা এবং মানসম্পন্ন সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র সৃষ্টি, পথচারীবান্ধব পরিকল্পনা, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ স্থান পেয়েছে, যা নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) প্রত্যাশা করে, এই জনগুরুত্বপূর্ণ দলিল সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানসমূহ এই পরিকল্পনার কর্মকৌশল অনুযায়ী তাদের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে। পরিকল্পিত রাজধানী গড়ে তুলতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিআইপি রাজউক তথা বাংলাদেশ সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।
এএসএস/এসকেডি