গ্রাহকের সেবা প্রদানে ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। এসময় উপস্থিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাবেক এক আনসার সদস্যসহ তিন দালালকে এক মাস করে কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন— মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক আনসার সদস্য মো. মহিবুল ইসলাম ও মো. রিপন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) অভিযানকালে পাসপোর্ট অফিসের সামনে অবস্থিত সায়মা টেলিকমের মালিক মো. মহিবুল ইসলাম ও লিটন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী রিপনের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ গ্রাহকদের নামীয় বিপুল পরিমাণ ডেলিভারি স্লিপ উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা পেয়েছে দুদক টিম।

আরও পড়ুন: ৬৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ : অনুষ্ঠানে এসে ধরা দুই বোন

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযানের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক বিশ্বনাথন আনন্দ, মো. রকিবুল ইসলাম ও উপ সহকারী পরিচালক সৈয়দ মাইদুল ইসলাম, মো. আবু তালহা, মো. আশিকুর রহমান এবং সুরাইয়া সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত টিম অভিযান চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে দালালির সঙ্গে যুক্ত তিন জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের পাসপোর্ট সেবা প্রদানে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাসপোর্ট অফিসের সামনে অবস্থিত সায়মা টেলিকমের মালিক মো. মহিবুল ইসলাম ও লিটন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী রিপনের কাছ থেকে নগদ অর্থসহ গ্রাহকদের নামীয় বিপুল পরিমাণ ডেলিভারি স্লিপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তিন জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

সূত্র জানায়, তৎক্ষণিকভাবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রত্যেক দালালকে এক থেকে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদানসহ নগদ ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অফিসের সব নথিপত্র পর্যালোচনাসহ সুবিধাভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রাহক হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগের সঙ্গে অফিসে কর্মরত আনসার সদস্যদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন করা হবে বলেও জানা গেছে।

আরএম/এসএসএইচ