রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমার সরকারের পাশাপাশি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলীন হেইজার।

সোমবার (২২ আগস্ট) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব বিষয়ে জোর দেন।

নোয়েলীন হেইজার রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার অনুকরণীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে যে ভূমিকা পালন করছে তা স্বীকার করেন।

পররাষ্ট্রসচিব রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ, রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং রাখাইনে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব দেন।

চারদিনের সফরে সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত। বিমানবন্দরে তা‌কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অণু বিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) হেইজার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে হেইজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে তাদের জীবনমান এবং দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনবেন। একই দিন তিনি রিফিউজি, রিলিফ অ্যান্ড রিপাট্রিয়েশন কমিশনারের (ত্রিপলআরসি) সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) হেইজার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি ঘুরে দেখবেন। একই দিন তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সফরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন হেইজার। এরপর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সিঙ্গাপুরের সমাজবিজ্ঞানী হেইজারকে গত বছর মিয়ানমারের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। সুইস কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনারের স্থলাভিষিক্ত হন হেইজার।

এনআই/এমএইচএস