তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে ডিমসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টির (জেপি) উদ্যোগে জাতীর শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আগস্ট মাস এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই মাসেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। এটি কারবালা হত্যাকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করেছে, গর্ভবতী শেখ মণির স্ত্রী কে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। 

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, মূল্যস্ফীতি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৬%, আমেরিকায় ৮.৫%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, পাকিস্তানে ২৫%, অস্ট্রেলিয়ায় ৯% এর ওপরে। কিন্তু আমাদের দেশে ৭.৫% এর ওপরে যা মে মাসের আগ পর্যন্ত ৭% এর নিচে ছিল এবং তা এখনও অনেক দেশের চেয়ে কম। আর বাম জোটের ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি, তাই আমি তাদের সম্মান করি। কিন্তু আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব, তাদের কর্মকাণ্ডে যেন বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠী লাভবান না হয়। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউল রশিদ খান প্রমুখ। 

আইবি/এসকেডি