ছেলের গুলিতে মা নিহত : মাইনুলকে আসামি করে মামলা
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সন্তানের গুলিতে মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ছেলে মাইনুলকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে মাইনুলের বোন শায়লা শারমিন নিপা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, জেসমিন আক্তারকে খুনের ঘটনায় ছেলে মাইনুলকে আসামি একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাইনুলকে গ্রেপ্তার বা অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়ায় সন্তান মাইনুলের গুলিতে তার মা ও পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৫০) নিহত হন। তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শামসুল আলম মাস্টার মারা যাওয়ার পর সম্পত্তি ও ব্যাংকে জমানো টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা শুরু হয়। এছাড়া মাইনুল কিছুদিন আগে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ছিল মাইনুলের।
আরও পড়ুন : পটিয়ায় সন্তানের গুলিতে মা নিহত
মঙ্গলবার সকালে মেয়ে নিপাকে নিয়ে ব্যাংকে যান জেসমিন আক্তার। মাইনুলকে না জানিয়ে বোনকে নিয়ে ব্যাংকে যাওয়ার কথা শুনতে পেয়ে দুপুরের দিকে মায়ের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন মাইনুল। এরই একপর্যায়ে মাকে গুলি করেন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় মা জেসমিন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামের পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তাতে প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক দ্বন্দ্বই মনে হচ্ছে। শামসুল আলম মাস্টার মারা যাওয়ার পর থেকে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। সেটার রেশ ধরেই আজ মা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে মাকে গুলি করে হত্যা করে মাইনুল।
তিনি বলেন, গুলি করার পরপরই মাইনুল পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। মাইনুলকে গ্রেপ্তার করার পর জানা যাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি তিনি কোথায় পেয়েছেন।
কেএম/এমএইচএস