রাশিয়া থেকে জ্বালানি আনতে পারবে বাংলাদেশ, আশা পররাষ্ট্রসচিবের
রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারলে বাংলাদেশও ভারতের মতো দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আনতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তবে বিষয়টি সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, রাশিয়ান ক্রুড অয়েল পরিশোধন করার যে সক্ষমতা ভারতের আছে, আমরা যদি সেটা করে নিতে পারি তাহলে অবশ্যই দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আমরাও আনতে পারব। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ। আমাদের হয়ত কিছু এক্সপার্ট আগামীতে ঢাকায় আসবে। আমাদের যে পরিশোধনাগার আছে সেগুলো আপগ্রেড করার বিষয়ে হয়ত কাজ করবে তারা।
এদিকে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দরকার হলে রাশিয়ান মুদ্রা রুবেলে জ্বালানি তেল কেনা হবে। ভারত তেল কিনতে পারলে আমরা কেন পারব না। আমরাও রাশিয়া থেকে তেল আনতে পারব।
আরও পড়ুন : বিপিসির লাভ-লোকসানের হিসাব জানতে চায় জনগণ : সিপিডি
এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যেহেতু আজ এ নির্দেশনা এসেছে, আমরা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের যে পসিবিলিটিগুলো আছে সেগুলো এক্সপ্লোর করব।
রাশিয়া থেকে তেল আনতে গেলে কূটনৈতিকভাবে ঢাকা কোনো সমস্যায় পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, অনেকে তো নিচ্ছে। তৃতীয় দেশ থেকে অনেকে নেয়। আমি যতদূর শুনেছি, আমাদের পরিশোধনাগারের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। সেটা যদি আমরা ওভারকাম করতে পারি তাহলে অন্যান্য দেশ যে পন্থা অবলম্বন করছে, আমরাও করতে পারব।
তিনি বলেন, আজ তো এক্সপ্লোর করার কথাটা আসল। আমরা এক্সপ্লোর করে দেখব। যদি সেরকম কোনে ঝামেলা থাকে তাহলে আমরা অন্য অপশনও দেখব।
তেল আনার ক্ষেত্রে মুড অব ট্রানজেকশন বা পেমেন্ট কীভাবে হতে পারে, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক বা মিনিস্ট্রি অব ফিন্যান্স ঠিক করবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পরাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের সবগুলো দেশের সঙ্গে তো ভালো সম্পর্ক আছে। সৌদি রাষ্ট্রদূতও একটা প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন। তারাও তেল দিতে প্রস্তুত আছে। কাতারের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো আছে, সেখান থেকে এলএনজি নিই। সুতরাং আমাদের অপশনস অনেক আছে।
তেল আনার ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের বেশি আগ্রহ জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মিডেল ইস্ট আমাদের মেইন সোর্স, সো ফার। যেটা হাতে আছে সেটাতে গুরুত্ব দেওয়া, যেন ওটা আমাদের ডিসরাপটেড না হয়।
ইরান থেকে তেল আনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব জানান, সেটা একটা পসিবিলিটি। ইরানের ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা আছে। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর একটা নেগোসিয়েশন চলছে। সেটা যদি একটা পজিটিভ আউটকাম হয় তাহলে সেই নিষেধাজ্ঞাগুলো হয়ত দ্রুত তুলে নেওয়া হবে। তখন আরেকটা সম্ভবনা হবে। ইরানের যে সুইট ফ্রুট সেটা পরিশোধন কতখানি আমরা করতে পারি সেটাও একটা বিষয়। অবশ্যই যত অপশন বাড়ানো যায় তত আমাদের জন্য ভালো।
এনআই/এসকেডি