পরীক্ষা নেওয়ার দাবিয়ে আন্দোলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

পুলিশের বাধার মুখে হুঁশিয়ারি দিয়ে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্থগিত হওয়া পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে তারা এ আন্দোলন করেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে কয়েকদফা পুলিশের বাধা পাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেন তারা।

এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শুরুর আগে ১০ জন এবং আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। আগামী রোববারের মধ্যে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও পরীক্ষার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী এ কে আলামিন বলেন, নুরের (সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর) লোক উল্লেখ করে আমাদের ২০-৩০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়েই আন্দোলন করছি।

বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী জড়ো হলে সেখান থেকে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এরপর আবার ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে টিএসসি থেকে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সামনে এলে পুলিশের মুখোমুখি হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান আশ্বাস দিলেও আটক করাদের মুক্তি না দেওয়ায় আবার থানার সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

এক পর্যায়ে বাঁশি বাজিয়ে ‘ধাক্কাধাক্কি’ করে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। সেখান থেকে আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ বলেন, ‘শাহবাগ থেকে আমরা ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছি। এদের মধ্যে ২/৩ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের, যারা অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলনে ঢুকে পড়েছেন। সবার অভিভাবকদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তারা এলেই আটক হওয়াদের ছেড়ে দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর দিন স্থগিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষাও। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সাত কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

এফআর