বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিচারের উদ্যোগ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

রিজভী বলেন, ঘটনার নেপথ্যের নায়করা রেহাই পাবেন না। বিএনপি যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখান সদর দপ্তরে সেনাহত্যা দিবসটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি করছে। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করবে।

দেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার অপরাজেয় জীবনীশক্তির আধার সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করার এক সুদূরপ্রসারী চক্রান্তেরই অংশ ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড, এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে দুর্বল, খর্বিত, নিঃস্ব ও আত্মবিশ্বাসহীন করার প্রথম ধাপ ছিল এ হত্যাকাণ্ড।

২৫ ফেব্রুয়ারির সেনা হত্যাযজ্ঞ আমাদের সেনাবাহিনীর শৌর্য, শক্তি ও অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি ভিনদেশি মাস্টারপ্ল্যান ছিল বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

পিলখানার রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর থেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব খর্ব হয়ে এসেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, উদ্দেশ্য-সচেতনভাবেই পিলখানার সেনা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আঁটঘাট বেঁধেই ষড়যন্ত্রকারীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা দেখি, দীর্ঘ এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব মেলেনি।

রিজভী বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের সমাবেশের প্রস্তুতির আগে মহানগরীতে ব্যাপকভাবে পুলিশি হামলা ও হয়রানি শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে যুবদল নেতা সুমন, সিরাজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, খায়রুজ্জামান টুকু, হারুন মোল্লা, বিএনপি নেতা শাহজাহান শেখ, জাহিদুল ইসলাম, তাঁতীদল নেতা মাসুম, ছাত্রদল নেতা শামীম আশরাফ, আসাদুজ্জামান আসাদ, বাবুলসহ বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশি হামলা ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তির জোর দাবি জানান রুহুল কবির রিজভী।

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইকবাল হোছাইনকে রাতের অন্ধকারে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রিজভী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর শরাফত আলী শফু প্রমুখ।

এএইচআর/জেডএস