জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় সোমবার (৮ আগস্ট) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
স্থায়ী মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর আলোচনা পর্বে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে তার জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতার সহধর্মীনিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামে ও সব সংকটে এক অকুতোভয়, বিশ্বস্থ ও নির্ভিক সহযাত্রী।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে মনের কথা তুলে ধরতে পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা।
বঙ্গমাতা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলীয় কর্মকাণ্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তার সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমুখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কীভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন তার নানা দিক উঠে আসে স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্যে।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শ থেকেই সেসব গুণাবলী অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এনআই/এসএম