বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম-সচিব (পরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. সাজ্জাদুল ইসলামের পৌনে ১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যে কারণে তার বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামের সুপারিশে কমিশন থেকে সোমবার (৮ আগস্ট) মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম বর্তমানে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধান পর্যায়ে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে ২ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৮ টাকার নিট সম্পদ পাওয়া যায়। যেখানে সাজ্জাদুল ইসলাম ২০০৪-০৫ কর বর্ষ থেকে ২০২০-২১ কর-বর্ষ পর্যন্ত পারিবারিক ব্যয় বাবদ ৯৫ লাখ ৯১ হাজার ২৫১ টাকা দেখিয়েছেন। নিট সম্পদের সঙ্গে পারিবারিক ব্যয় যোগ করলে মোট ২ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া যায়।

সূত্র আরও জানায়, অনুসন্ধানকালে সাজ্জাদুল ইসলামের মোট ২ কোট ২২ লাখ ১৪ হাজার ৯২৮ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। ফলে বাকি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে দুদকের কাছে প্রমাণ রয়েছে। যে কারণে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরএম/এসকেডি