রাজধানীর রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে কুঞ্জবন এলাকায় ঝুমু নামে পাঁচ বছরের মেয়েকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার মা জাকিয়া শম্পার বিরুদ্ধে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গেছে।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার আগে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

শিশুটির মামা জামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, আমার বোন শম্পা প্রায় তিন বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। শম্পার স্বামী সাভারে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। কিছুদিন আমার বোন সাভারেও ছিল। মানসিক সমস্যা বেশি হওয়ায় গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ পাঠানো হয়। 

তিনি বলেন, কিছুদিন হলো চিকিৎসার জন্য বোনকে আমার বাসায় নিয়ে আসি। আজ বাসায় কেউ না থাকায় দুপুরের দিকে বোন আমার ভাগ্নিকে বালিশ চাপা দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় ঝুমুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে আমার বোন শম্পাকে ঘরে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাকিয়া শম্পা শরীয়তপুর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছেন। তাকে বাসায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। আজ দুপুরে তিনি নিজের মেয়েকে গলা টিপে অথবা বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন। তার আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমরা তাকে বাসায় পুলিশি পাহারা দিয়ে রেখেছি। পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএএ/আরএইচ