আগের ভাড়াতেই চলছে কিশোরগঞ্জের তিন পরিবহন
আগের ভাড়াতেই রাজধানী ছাড়ছে কিশোরগঞ্জগামী তিনটি পরিবহন। এগুলো হচ্ছে- জলসিড়ি, অনন্যা ও অনন্যা ক্লাসিক। সরকার নির্ধারিত তালিকা হাতে না পাওয়ায় আগের ভাড়াতেই যাত্রী আনা-নেওয়া করছে পরিবহনগুলো।
কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২২ শতাংশ বেড়েছে। সেই অনুযায়ী মহাখালী টার্মিনালের বেশির ভাগ রুটের বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। আমাদের কাছে এখনো কোনো তালিকা আসেনি। তাই আগের ভাড়াতেই যাত্রী পরিবহন করছি।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৭ আগস্ট) মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কাউন্টার ফাঁকা। কিশোরগঞ্জগামী কাউন্টার তিনটিতে দু-এক জন করে যাত্রী আসছেন। তারা আগের ভাড়াতেই টিকিট কিনছেন।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি ও নান্দাইলগামী জলসিড়ি পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার কাওসার আহমেদ সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, তেলের দাম বাড়ায় বাসের ভাড়া বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মালিক সমিতি এখনো ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমাদের কাছে কোনো তালিকাও আসেনি। তাই আগের ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি করছি।
নান্দাইল ও মঠখোলাগামী যাত্রীদের কাছে ২০০ টাকা করে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। আর কটিয়াদির যাত্রীদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা করে।
অনন্যা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আলী হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জের টিকিট বিক্রি করছি ২৭০ টাকা। মঠখোলার টিকিট বিক্রি করছি ২০০ টাকা। আর গাজীপুরের টোক-নয়ন বাজারের টিকিট বিক্রি করছি ১৮০ টাকা।
তিনি বলেন, আগের নির্ধারিত ভাড়া অনুসারে মহাখালী-কিশোরগঞ্জের ভাড়া ৩০১ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা নিচ্ছি ২৭০ টাকা অর্থাৎ ৩১ টাকা কম নিচ্ছি। আবারও নতুন ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে। মালিক সমিতির নির্দেশ ও তালিকা হাতে পেলে সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।
জলসিড়ি পরিবহনের যাত্রী আদিলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ কম ভাড়া নিলেও কাল-পরশু থেকে তো বেড়েই যাবে। তেলের দাম বাড়ায় সব জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বাড়ছে। সেগুলো তো ঠেকানো যাবে না। সরকারের উচিত ছিল কিছু ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম কমিয়ে রাখা।
এদিকে মহাখালী থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে চলাচল করা বেশ কয়েকটি বাসে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন- একতা, এসআর ট্রাভেলস, রাজিব এন্টারপ্রইজ, এস আই এন্টারপ্রাইজ, এনা, আলম এশিয়া এবং সৌখিন পরিবহনসহ আরও কিছু পরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
এমআই/এমএইচএস