বৈঠকে মোমেন-ওয়াং ই
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকা সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের পর বৈঠকটি শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই ঢাকা সফরে এলেন ওয়াং ই। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ঢাকা। কেননা, তার এ সফরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুও উঠে আসবে।
আর বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে তোলা হবে তাইওয়ান ইস্যু।
চলমান উন্নয়ন সহযোগিতায় বেইজিংকে পাশে চাওয়ার পাশাপাশি বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য ও জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে ঢাকা-বেইজিং একসঙ্গে কাজ করতে পারে কি না- সেটি এজেন্ডায় রাখবে ঢাকা। এছাড়া চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে বেইজিংয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুইদিনের সফরে শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় আসেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বিমানবন্দর থেকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের প্রথম কর্মসূচিতে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বেইজিংয়ের আগ্রহে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও আঞ্চলিক ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক রাজনীতির আলোচনা গুরুত্ব পাবে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তাইওয়ান ইস্যুকেই প্রাধান্য দেবে বেইজিং।
হঠাৎ করে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের খবর জানার পর থেকে কূটনৈতিক মহলে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলমান রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, বৈশ্বিক উদ্যোগে সবসময় ঢাকাকে পাশে চায় বেইজিং। আবার কেউ কেউ বলছে, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক কাঠামো (আইপিইএফ) নামে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নতুন অর্থনৈতিক জোট এবং নিরাপত্তা জোট কোয়াডে ঢাকা যেন যুক্ত না হয় সে বিষয়ে বেইজিং আবার বার্তা দেবে।
রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরের দিকে ঢাকা থেকে মঙ্গোলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সবশেষ, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকা সফর করেছিলেন।
এনআই/এমএইচএস