অনুমতি ছাড়া আবাসন প্রকল্পের খনন নয়
আবাসন প্রকল্পের খননকাজ বন্ধ না করলে যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি যে আবাসন প্রকল্পের ড্রেজিং (খননকাজ) বন্ধ করতে হবে। এখানে বিনা অনুমতিতে গৃহায়ন করা যাবে না। প্রয়োজন হলে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের যান, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি বাজেয়াপ্ত করব।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখালী এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ ও দক্ষিণ সিটির ৬ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিনা অনুমতিতে আবাসন করা যাবে না উল্লেখ করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পত্তি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে তাপস বলেন, করপোরেশনের অনুমোদনবিহীন সকল ‘গৃহায়ন প্রকল্প বন্ধ করুন। বন্ধ, বন্ধ, বন্ধ, (অনুমোদনহীন) এসব বন্ধ করেন।’
সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বুধবার নৌকায় করে ত্রিমোহিনী গুদারাঘাট থেকে দাসেরকান্দি, বালু নদীর পাড়, কায়েতপাড়া বাজার, ইদেরকান্দি ও ফকিরখালী এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় ফকিরখালী এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর ত্রিমোহনী বাজারে পৌঁছে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমরা সরেজমিন দেখলাম যে এখানে কিছু আবাসন প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিনা অনুমতিতে জমি দখল করে আছে। যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে তারা আবাসন করছে। এতে মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। এলাকার জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েও ফল পাচ্ছেন না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এমএইচএস