বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে দেশেও বাড়ানো হয়েছে ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে। তার আগে থেকেই দাম বৃদ্ধির খবরে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে বিক্রি করার লক্ষ্যেই আগের কম টাকায় কেনা তেল মজুত করতে পাম্পগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু আগের দামে কেনা তেল তারা ১৩৫ টাকা বিক্রি করতে পারে না।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কার্যকর হলো তেলের বাড়তি দাম

শুক্রবার দিবাগত রাতে মূল্যবৃদ্ধির খবরে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় তেল নিতে আসা জয় হোসেন নামে একজনের সঙ্গে কথা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাত ১১টায় আমি পাম্পে এসেছি। তখন কিন্তু তেলের দাম বাড়ার কথা না। দাম বাড়বে রাত ১২টার পর থেকে। পাম্পগুলোর সংরক্ষণে এখন যে তেল আছে, সেটা তো ৮৯ টাকা লিটারেরই তেল, তাই না?

দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের ভুল উল্লেখ করে জয় বলেন, এভাবে হুটহাট করে একটা নোটিশে দাম বাড়িয়ে ফেলাটা কি যৌক্তিক হয়েছে? আমাদের তো অন্তত একটু সময় দেওয়া উচিত ছিল। আগেই ঘোষণা করা উচিত ছিল তেলের দাম বাড়ানো হবে।

আরও পড়ুন: অকটেন ১৩৫, পেট্রোল ১৩০ টাকা

তিনি আরও বলেন, এখন তো এমনিতেই সবকিছুর দাম বেশি। এর মধ্যে এই যে হুট করে দাম বাড়িয়ে দিলেন, এখন তো এর প্রভাবে সবকিছুর দাম আবার বেড়ে যাবে। আমরা বাঁচব কেমনে? তেলের দামের কারণে বাসসহ সবকিছুর ভাড়া বেড়ে যাবে, এখন যেই রেটে চলছে তেলটা, এটা তো ১৩০/১৩৫ টাকার তেল না। তাহলে এটা এখন আমাদের দিলে কি সমস্যা ছিল? জনগণ তো অন্তত সাত/আট দিন চলে তারপর একটা পরিকল্পনা করে এগুতে পারত, তাই না? এই বিপদে তো আমাদের ফেলাটা উচিত হয়নি।

এক লিটার অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে। ফলে ভোক্তাকে নতুন করে গুণতে হবে আরও ৪৬ টাকা। প্রতি লিটার পেট্রোল ভোক্তা পর্যায়ে আগে ছিল ৮৬ টাকা, যা এখন নতুন দামে কিনতে হবে ১৩০ টাকায়। আগের চেয়ে দাম বেড়েছে ৪৪ টাকা।

টিআই/এসএসএইচ