জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের মধ্যে দুই-একজনকে শিগগিরই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

শুক্রবার ( ৫ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা এলাকায় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোকাঞ্জালি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দুই-একজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছে। আবার বঙ্গবন্ধু কন্যার ডাকে আজকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবধরনের সহযোগিতা করছে। এই দেশ হলো হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ খ্রিষ্টানের দেশ। এই দেশ সবাই স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সবকিছুর সমান অধিকার পাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেকেই ইতিহাস বিকৃতি করে অনেক কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুর নামটাও মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। আমরা অনেক দৃশ্য দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দৃশ্য কোনো দিন ভুলতে পারব না।  ১৫ আগস্টের কথা কোনো দিন ভুলব না। কী অপরাধ করেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা। এসব কিছুর আজ হিসাব নিকাশের সময় এসেছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় এসেই শুরু করলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের প্রক্রিয়া। অনেক বিচারক বিব্রত হলেন, অনেক কিছু হলো। সবই মনে আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা কিন্তু হাল ছাড়েননি। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারটা আমরা পেয়েছি। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এর মধ্যে কয়েকজনের রায় কার্যকর করা হয়েছে। তা আপনারা দেখেছেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা খুনিদের দেখি। খুনিদের নিয়ে যে প্ল্যান করেছিল, যে মাস্টারমাইন্ড ছিল, যারা এদের ফোন করেছিল, তাদের তো আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। আমাদের সে প্রচেষ্টা চলছে। আমরা সেগুলো তুলে ধরব জাতির কাছে। এই বিশ্বাসঘাতকরা সেদিন কী করেছিল তা জাতির সামনে তুলে ধরব।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, কারণ তারা ভালো করেই জানত, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনিতে প্রবাহিত হবে তারা বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। 

আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা হৃদয়ে ধারণ করতাম বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারাটা যেন আমরা দেখে যেতে পারি। তাদের বিচারের দৃশ্যটা আমরা দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যদি দেশে না আসতেন তাহলে এই বিচারের দৃশ্যটা আমরা নাও দেখতে পেতাম।  

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ছয় দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আক্তারসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।

কেএম/এসকেডি