অনলাইন ব্যবসায় নানা অভিযোগের বিষয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অনলাইনে অনেক প্রতিষ্ঠান নামে-বেনামে একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করছে, এ ব্যাপারে কঠোর হতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
 
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। এ সময় তার সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আফরোজা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবসার নামে প্রতারণার বিষয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এটা আমরা বন্ধ করতে পারব না। তবে আমরা এসব ফেক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বিটিআরসিকে জানাব, তারা বন্ধ করবে।

তিনি বলেন, ভোক্তাদের স্বভাব বদলাতে হবে। ডিজিটাল কমার্স, ই-কমার্সে এতকিছু হয়ে গেল, এত ধস নামল, এরপরও যদি আমরা সচেতন না হয়ে একটা বিজ্ঞাপন দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ি, ভোক্তা হিসেবে যদি আমরা সচেতন না হই, কাকে দায়ী করব? প্রতারণা হচ্ছে এটা সত্য, ভোক্তারা কেন এসব প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছেন? সরকারের দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে আমরা কাজ করছি। কিন্তু আপনি যখন একটা পণ্য অনলাইনে পছন্দ করবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকেও তো বুঝতে হবে এটা ফেক আইডি কি না।

তিনি আরও বলেন, এত বিস্তৃত সেক্টরে আমরা ফোকাসটা কতদূর করতে পারব! একটার পর একটা ইস্যু আসছে। অর্থ লেনদেনের ইস্যু আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। এসব ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ এলে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে রিপোর্ট দিতে পারি, সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারি না।

রেল খাতের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে রনির করা অভিযোগে সহজ ডট কমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, জরিমানার আদেশটি দুই মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের ব্যারিস্টারকে সব ধরনের তথ্য প্রমাণ দিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন। আমরা স্টেটমেন্ট অব ফ্যাক্ট পাঠিয়ে আমাদের অবস্থান ক্লিয়ার করছি। দুই মাস পর একটা শুনানি হবে। সেখানে মহামান্য আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেটাই গণ্য হবে।

এএজে/জেডএস