কোম্পানিগঞ্জের সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

দেশে হর-হামেশা সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। কখনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী, স্বার্থগোষ্ঠী, কখনো বা প্রশাসন এসবের পেছনে থাকে। বিচার না হওয়ার কারণে দেশে বারবার এমন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতেই থাকে।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন আয়োজিত কোম্পানিগঞ্জের সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সমাবেশে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা এ দেশে নেই। একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এর বিচার হয় না। এভাবে চলতে পারে না।

বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এ দেশে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। সাংবাদিকদের জীবনও নিরাপত্তাহীন। কাজ করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হতে হয়। স্বাধীন দেশে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

সমাবেশে বোরহান উদ্দিন মোজাক্কিরের স্বজন নজরুল ইসলাম বলেন, ভিডিও করতে গিয়ে মোজাক্কির গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। এ ফুটেজ সংগ্রহ করে মোজাক্কির হত্যার বিচার চাই। ৬২টি গুলির স্প্লিন্টার ছিল তার সারা শরীরে। নৃশংসভাবে মোজাক্কিরকে হত্যা করা হয়।

বিএফইউজের সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এখনও বিচার হয়নি। এ বিচার আদৌ হবে কি-না কেউ জানে না। এ মোজাক্কির হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে কি-না তা নিয়েও সন্দেহ আছে। নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য না করে প্রতিবাদ জানাতে হবে।

সাংবাদিকদের কলম ভেঙে দেওয়া সহজ নয় উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সরকারের কাছে বলতে বলতে সাংবাদিকরা ক্লান্ত। দেশের প্রতিটি বিভাগে, থানায় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। সাংবাদিকদের খুন, গুম, নির্যাতন করার বিচার করতে হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে সাবেক নির্বাহী পরিষদের সদস্য জসীম উদ্দিন, এ কে এম মহসীন, ডিইউজে জনকল্যাণ সম্পাদক মাসুদা সুলতানা, ডিইউজে সদস্য রাজু আহমেদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস