তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেওয়াসহ ৫ দফা সুপারিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সচিবালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব সুপারিশ জানানো হয়।

জোটের অন্যান্য সুপারিশগুলো হচ্ছে— বর্তমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সুপারিশ অনুযায়ী সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী করা; কোম্পানির প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নীতিসমূহ সুরক্ষায় এফসিটির আর্টিক্যাল ৫ দশমিক ৩ অনুসারে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন ও কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন করা; তামাক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন ও নীতিসমূহ যুগোপযোগী করা এবং শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের ন্যায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে তামাক উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে অযোগ্য ঘোষণা করা।

মূল প্রবন্ধে এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা বলেন, তামাক ব্যবহারের মাত্রাকে যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় সরকারের একার পক্ষে বহন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করা বর্তমান সময়ের দাবি। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে। প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে খুচরা তামাক পণ্য বিক্রয়, ই-সিগারেট, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কার্যক্রম, ভ্রাম্যমাণ দোকানের মাধ্যমে তামাক পণ্য বিক্রয় এবং বিনোদন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ, তামাকজাত পণ্য বিক্রয়ে বাধ্যতামূলকভাবে লাইসেন্স গ্রহণ, স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং ইত্যাদি বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, পাশাপাশি ধূমপানমুক্ত স্থানে তামাক পণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং এফসিটিসির আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিধান আইনে থাকা জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যুগোপযোগী না করা গেলে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, শুধু মাত্র জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন নয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলেও আইনটিকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। আইনের সংশোধন জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, স্কোপের নির্বাহী পরিচালক কাজী এনায়েত হোসেন প্রমুখ।

এমএইচএন/আইএসএইচ