ডিএনসিসির পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন ৩৩ কোটি টাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পাইলট প্রকল্প হিসেবে কোরবানির ঈদে ডিএনসিসি স্মার্ট হাট চালু করেছে। প্রথমবারই বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিকসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের চ্যানেলে ৩৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনে আয়োজিত ‘স্মার্ট হার্ট, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর ফলাফল ঘোষণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ডিজিটাল মাধ্যমে ভবিষ্যতে কীভাবে এটিকে আরও বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এর মাধ্যমে শুধু সহজেই লেনদেন হবে না, মানুষ বিপুল টাকা নিরাপদে লেনদেন করতে পারবে। গাবতলীর পশুর হাটকেও ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় আনা হবে। মানুষ এর সুফল পাবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, গাবতলী আমদের একটি স্থায়ী পশুরহাট। এখানে সারা বছরই পশু বেচা-কেনা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। তাই এটিকে আমরা স্মার্ট করতে চাই এবং এটি করতে আমরা খুব বেশি সময় নেব না। একজন খামারি যখন তাদের পশু নিয়ে শহরে আসেন প্রকৃতপক্ষে তাদের অনেক কষ্ট হয়। পশুগুলো বিক্রি করে বিক্রিত টাকা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার চিন্তাটাও তার মধ্যে থাকে। যাওয়ার সময় টাকা নিয়ে একজন খামারি যেন নির্বিঘ্নে নিরাপদে যেতে পারেন সেজন্য আমরা এই ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা করছি। এর ফলে খামারিদের আর নগদ টাকা বহন করতে হচ্ছে না।
স্মার্ট সিটি নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনারা যদি কোথাও ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা, ফুটপাতে ময়লা, জলাবদ্ধতাসহ অন্য সমস্যা দেখেন তাহলে ছবি তুলে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপে আপলোড করুন। কথা দিচ্ছি আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটা সমাধান করার ব্যবস্থা নেব। এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে স্মার্ট এলইডি লাইট ব্যাপকভাবে আমাদের কাজে লাগছে। লাইটগুলো ডিমিং করে রাত ৮টা-১২টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ এবং রাত ১২টা-৪টা পর্যন্ত ৬৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করছি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলম, স্মার্ট হাটে অংশ নেওয়া ছয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিকাশ, মাস্টারকার্ড, ভিসাকার্ড সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ছয়টি ডিজিটাল পশুর হাটের ইজারাদার, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/আইএসএইচ