নির্বাচন কমিশনে দেশের মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ২৬টি দল তাদের ২০২১ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসি জমা দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি ১৩টি দল। আইন অনুযায়ী পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।

নিয়ম অনুযায়ী, ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে পরের বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হয়। অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২৬টি দল অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে। অন্য দলগুলো তাদের প্রতিবেদন জমার সময় এক থেকে দুই মাস বাড়ানোর আবেদন করেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারেনি ১৩টি দল। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, জাকের পার্টি, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম।

নির্ধারিত সময়ে জমা দিয়েছে ২৬ দল

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ কংগ্রেস।

এমএইচএস