দুদকের মামলা
টেকনাফের কমিশনার মনিরুজ্জামানের ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ!
প্রায় ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার টেকনাফ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকা স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ৪ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৩ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ এর মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই বছরের ১৫ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৩৪ হাজার ১০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দিলেও যাচাইকালে তার নামে ৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থ্যাৎ তিনি ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৬ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। অন্যদিকে যাচাইকালে তার নামে ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৪ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৩ টাকার সম্পদের বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি।
আরএম/এসএম