ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের হেনস্তার শিকার হয়েছেন ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক তানভীরুল ইসলাম।

কক্ষে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার পাশাপাশি সাংবাদিক তানভীরুলের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন ঢামেক পরিচালক মো. নাজমুল হক। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক পরিচালকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

হেনস্তার শিকার তানভীরুল বলেন, হাসপাতালটির এক চিকিৎসকের অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের বক্তব্য নিতে যাই আমি। তবে ব্যস্ততা দেখিয়ে পর দিন (১ আগস্ট) দুপুর ২টায় হাসপাতালে দেখা করতে বলেন তিনি। সে অনুযায়ী আমি সোমবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে পরিচালকের রুমে গিয়ে কথাবার্তা শুরু করি। এক পর্যায়ে ঢামেকের একজন চিকিৎসকের অনিয়মের ভিডিওসহ ঢামেক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অনিয়ম নিয়ে কথা বললে পরিচালক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি ক্ষেপে যান এবং ভিডিও বন্ধ করতে বলেন। এরপর তিনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার মোবাইল কেড়ে নেন। এ সময় তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন।

আরও পড়ুন : ঢামেকে চিকিৎসকের কাণ্ড, স্যান্ডেল খুলে পেটালেন নারী কর্মী

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমি সাক্ষাৎকার বন্ধ করে চলে আসতে চাইলে তিনি আমাকে তার কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং অফিসে কর্মরত অন্যদের ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধিকে হাসপাতালে আসতে বলার নির্দেশ দেন। এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধি না আসবে ততক্ষণ আমাকে বসে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন পরিচালক।

তানভীরুল ইসলাম বলেন, আমি পেশাগত কাজে ওনার সঙ্গে অনুমতি নিয়েই ভিডিও করেছি। কিন্তু আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিওসহ নিউজের বিভিন্ন ডকুমেন্টস ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি। পরিচালক আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন সেটি নিয়ম বহির্ভূত এবং পরিচালক পদের অপব্যবহার।

আরও পড়ুন : সব রোগী থেকেই অর্থ নেন ঢামেক সার্জন পীযূষ!

এ বিষয়ে ঢামেক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তিনি (তানভীরুল ইসলাম) আমার কাছে এসেছিলেন। তাকে আমি কিছু তথ্য আমি দিতে পেরেছি। তিনি একজন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়েছেন যা আমার জানা ছিল না। তবে তিনি এই তথ্যের জন্য পীড়াপীড়ি করছিলেন। এটা নিয়েই কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়।’

 জোর করে বসিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তানভীরুল গতকাল ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। আজ (সোমবার) তানভীরুল একাই আসেন। তাই আমি বলেছি ঢামেক প্রতিনিধি আসার আগ পর্যন্ত তানভীরুল যাতে থাকে। পরে যখন শুনলাম ঢামেক প্রতিনিধি দূরে আছেন তখন আমি তানভীরুলকে কফি অফার করি। কফি না খেয়ে উনি চলে যান।’

এআর/এসকেডি