বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে আসা সাদা রঙের নতুন চারটি শাবকের নামকরণ করা হয়েছে পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা। 

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ চারটি সাদা শাবকের নামকরণের কথা জানান চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, পদ্মা আমাদের স্বপ্নের সেতু, মেঘনা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম নদী, সাঙ্গু ও হালদা চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ দুটি নদী। এসব বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে ৪টি সাদা বাঘ শাবকের নামকরণ করা হয়েছে পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা।

জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৮ সালে জন্ম নেওয়া প্রথম সাদা বাঘটি পর্যটকদের জন্য বিশেষ একটি আকর্ষণ। হাজার হাজার মানুষ এটি দেখতে ভিড় করছে। এ চিড়িয়াখানায় গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম প্রাকৃতিক এভিয়ারি (পক্ষীশালা)। যেখানে তিন শতাধিক পাখি রয়েছে। 

এছাড়া গত ৩০ জুলাই রাজ ও পরি নামক বাঘ দম্পতি থেকে ৪টি বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ জন্মায়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৬টি বাঘ রয়েছে। যার মধ্যে ৫টি বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ। বাংলাদেশের চিড়িয়াখানা-সাফারির মধ্যে সবথেকে বেশি বাঘ এখন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। 

এর আগে রোববার (৩১ জুলাই) চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, শনিবার বাঘিনী পরীর ঘরে জন্ম নেয় চারটি বাঘ শাবক। সবগুলো শাবকই সুস্থ আছে। 

এর আগে ২০২১ সালের ৬ মে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি রাজ-পরীর ঘরে এসেছিল নতুন তিন শাবক। এই বাঘ দম্পতির ঘরেই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সাদা বাঘ ‘শুভ্রা’ জন্ম নেয়।

কেএম/জেডএস